সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা-২ এর দেওয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুম কেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এসবের প্রমাণ দেশের সব গণমাধ্যমে প্রকাশিত। কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।
এতে বলা হয়, ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী ও জনগণের ওপর আক্রমণ করে শতশত নিরাপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করেছে। অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক, উস্কানিমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। সরকারের কাছে এসবের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তাই সরকার বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ এর ধারা ১৮ এর উপধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। এ আইনের তফসিল-২-এ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নামের ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হলো।
সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, এর আগের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ বহু ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রলীগের ছাত্রবিরোধী অবস্থানের কারণে অনেকবার সংগঠনটি নিষিদ্ধের দাবি উঠেছিল।
এর আগে বুধবার রাত সোয়া ৮টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে লেখেন, ‘আজকে রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আজ রাত ৮:৩০টায় ভিসি বাসভবনের ফটকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অবস্থান কর্মসূচি শুরু।’