১০ বছর পর উপমহাদেশে টেস্ট জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বশেষ ২০১৪ সালের জুলাইয়ে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৫৩ রানের জয় পেয়েছিল প্রোটিয়ারা। এরপর টানা ১৪ ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি তারা। এবার ২০২৪ সালে এসে বাংলাদেশকে হারিয়ে উপমহাদেশের মাটিতে ফের জয় পেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ১০৬ রান। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় মোটেও বেগ পেতে হয়নি সফরকারীদের। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনের আগেই ৭ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্য টপকে গেছে অতিথিরা। এতে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
বাংলাদেশের হয়ে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে দারুণ এক ইনিংস খেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৫৮ রানের ইনিংস খেলে মিরাজকে সঙ্গ দেন জাকের আলী। ১১২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে এই দুইজনের ১৩৮ রানের জুটিতে চতুর্থ দিনে গড়ায় মিরপুর টেস্ট।
আজ বৃহস্পতিবার ৭ উইকেটে ২৮৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু এদিন ৫ ওভারও টেকেনি বাংলাদেশ। ৩০৭ রান করতেই অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা।
শুরুতেই ভক্তদের হতাশ করেন নাইম হাসান। প্রথম ওভারেই আউট হন তিনি। কাগিসো রাবাদার ওভারের তৃতীয় বলে এলবিডব্লিউ হন নাইম। ২৯ বলে ১৬ রান করে বিদায় নেন তিনি। চতুর্থ ওভারে উইয়ান মুলদারের বলে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান তাইজুল ইসলাম (৭ বলে ৭)।
প্রশংসনীয় ইনিংসকে পূর্ণতা দিতে পারেননি মিরাজ। সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় তাকে। পঞ্চম ওভারে ১৯১ বলে ৯৭ রান করে কাগিসো রাবাদার বলে স্লিপে ক্যাচ হন ডানহাতি টাইগার ব্যাটার। মিরাজের উইকেটের মাধ্যমে শেষ হয় মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস।
১০৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ৪২ রানে। তাইজু্ল ইসলামের বলে বোল্ড হন ওপেনার এইডেন মার্করাম।২৭ বলে ২০ রান করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। আরেক ওপেনার টনি ডি জর্জিও (৫২ বলে ৪১) আউট হন তাইজুলের বলে। হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচ হন প্রোটিয়া বাঁহাতি ওপেনার।
এরপর ডেভিড বেডিংহামকেও ফেরান তাইজুল। অর্থাৎ দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে সবগুলো উইকেটই পান তিনি। অবশেষে ত্রিস্টান স্টাবসের অপরাজিত ৩০ আর রায়ান রিকেলটনের ১ রানে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট নেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা। প্রথম ইনিংসে ১১৪ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক ব্যাটার কাইল ভেরেইনে।